নতুন ভূমি আইন: যে ৭ শ্রেণির দলিলের নামজারির দরকার নেই !

বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে নতুন ভূমি আইন। এই আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নামজারি প্রক্রিয়ার সরলীকরণ। আগে যেখানে জমির মালিকানা হস্তান্তরে নামজারির একটি জটিল প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হতো, সেখানে নতুন আইন অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রে নামজারির প্রয়োজন পড়বে না। 

নতুন ভূমি আইন

কোন ৭ শ্রেণির দলিলের নামজারির দরকার নেই?

নতুন ভূমি আইন অনুযায়ী নিম্নলিখিত ৭ শ্রেণির দলিলের ক্ষেত্রে নামজারির প্রয়োজন পড়বে না:

  1. রেজিস্ট্রি দলিল: রেজিস্ট্রি দলিলের ক্ষেত্রে নামজারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। অর্থাৎ, দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার সাথে সাথে জমির মালিকানা হস্তান্তর হয়ে যাবে এবং নতুন মালিকের নাম খতিয়ানে উল্লেখিত হবে।
  2. উত্তরাধিকার সূত্রে হস্তান্তর: উত্তরাধিকার সূত্রে জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও নামজারির প্রয়োজন পড়বে না। উত্তরাধিকার সনদই যথেষ্ট হবে।
  3. দানপত্র: দানপত্রের মাধ্যমে জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও নামজারির প্রয়োজন পড়বে না। দানপত্রই যথেষ্ট হবে।
  4. বিনিময়: বিনিময়ের মাধ্যমে জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও নামজারির প্রয়োজন পড়বে না। বিনিময় দলিলই যথেষ্ট হবে।
  5. আদালতের রায়: আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও নামজারির প্রয়োজন পড়বে না। আদালতের রায়ই যথেষ্ট হবে।
  6. সরকারি জমি হস্তান্তর: সরকারি জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও নামজারির প্রয়োজন পড়বে না। সরকারি আদেশই যথেষ্ট হবে।
  7. অন্যান্য আইনগত দলিল: অন্যান্য আইনগত দলিল যেমন, বন্ধক দলিল, লিজ দলিল ইত্যাদির ক্ষেত্রেও নামজারির প্রয়োজন পড়বে না।

নতুন আইনের সুবিধা

  • সময় ও ব্যয় সাশ্রয়: নামজারির প্রক্রিয়া বাদ যাওয়ায় জমি হস্তান্তরের সময় ও ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
  • দুর্নীতি প্রতিরোধ: নামজারির প্রক্রিয়া সরলীকরণের ফলে দুর্নীতির সুযোগ কমে যাবে।
  • ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজতর: নতুন আইন ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করে তুলবে।

উপসংহার

নতুন ভূমি আইন বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থায় একটি বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছে। এই আইনের ফলে জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে। তবে, এই আইন সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা এবং এর সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

Post a Comment

أحدث أقدم
Post ADS 1
Post ADS 2