ইসলামিক বই pdf free download

অনলাইনে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষায় করনীয়

একবিংশ শতাব্দির যুগে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক চাহিদা ও উন্নতি সাধিত হয়েছে। মানুষ প্রতিনিয়ত আধুনিক জীবন যাপনে অবস্ত হয়ে পড়ছে। উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে মানব জীবন যেমন সহজ হয়ে যাচ্ছে তেমন জীবন নিরাপত্তার নিয়ে মানুষ সংকিত হয়ে পড়ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের সর্তকতা ও নিরাপত্তার গুরুত্ব সহজ ও স্বল্প বিষয়গুলো শেয়ার করব। অনলাইনে পাসওয়ার্ড সুরক্ষা, নিরাপত্তা কৌশল, সতর্কতা ও গোপনীয়তায় করনীয়

অনলাইনে পাসওয়ার্ড সুরক্ষা, নিরাপত্তা কৌশল, সতর্কতা ও গোপনীয়তায় করনীয় 

পাসওয়ার্ড সুরক্ষা : অনলাইন জগৎতে স্যোসাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ইমেইল বা ওয়েবসাইট গুলোতে আমরা পাসওয়ার্ড ব্যবহারে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সর্তক পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে।  যেমন :

স্যোসাল মিডিয়া ব্যবহারে পাসওয়াত সুরক্ষা 

  1. Security and login - আপনার ই-মেইন/ ফোন নম্বার গোপন (প্রাইভেট) করে রাখুন।
  2. একই পাসওয়ার্ড ভিবিন্ন জায়গায় ব্যবহার করবেন না।
  3. ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
  4. ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ৬ সংখ্যা বা এর উপর ও আলাদা বর্ণমালা বা প্রতীক দিন। যেমন : ABC!%$&*12345
  5. প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা Two-factor authentication চালু রাখুন।
  6. আপনার পাসওয়ার্ড ব্রাউজারে সেভ করা থেকে বিরত থাকুন।

ই-মেইল ব্যবহারে পাসওয়াত সুরক্ষা 

  1. যেকোন ব্রাউজারে সেভ করা থেকে বিরত থাকুন।
  2. ই-মেইলে সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  3. স্প্যাম মেইল খোলা থেকে বিরত থাকুন।
  4. ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড একাধিক ই-মেইলে ব্যবহার করবেন না।
  5. ব্রাউজারে সেভ করা থেকে বিরত থাকুন।

নিরাপত্তা কৌশল : বর্তমান সময়ে পরিস্থিতির সাথে হ্যাকারদের পদ্ধতি ও কর্ম-কৌশলের উন্নতি হয়েছে। অনলাইন জগৎ নিরাপত্তার কৌশন হিসেবে আপনাকে আপডেট রাখতে হবে। ভিবিন্ন অবৈধ ওয়েবসাইটে স্প্যাম যুক্ত থাকে। ওয়েবসাইট পরিচালনা করে থাকলে - নিয়মিত ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখুন।

মোবাইল নিরাপত্তার কৌশল হিসেবে অবৈধ ওয়েবসােইট ও গুগল প্লে-স্টোর ব্যতিত অন্য কোন স্টোর থেকে মোবাইল এ্যাপ্স ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করুন।

সতর্কতা ও গোপনীয়তায় করনীয় : অসর্তক থাকার কারনে ভুলে পাসওয়ার্ড হ্যাক হলে কি করবেন ? 

  • প্রথম অবস্থায় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। 
  • ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ডোমেইন/ হোস্টিং মডিলিউটরের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
  • স্যোসাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত Forgotten password? থেকে ডাটা ব্যাক করার চেষ্টা করুন।
  • এরপরও স্যোসাল মিডিয়ার ফিরে পেতে ব্যর্থ হলে, নিকট থানায় ডিজি করুন।


উপরের কর্মপন্থা অবলম্ভন করলে ইনশাল্লাহ - আপনার ওয়েবসাইট বা স্যোসাল আইডি অনেকটাই সর্তক অবস্থায় থাকবে। অনলাইন জগৎ প্রতিনিয়ত আপডেট থাকতে চেষ্টা করুন।

অনলাইনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা: গুগলে কম প্রশ্নিত, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

অনলাইন জগতের বিশালতায়, সুরক্ষা ঝুঁকিও অনেক। গুগলে প্রচুর সার্চ হলেও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখনো অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত। এই পোস্টে, আমরা এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরবো যা আপনার অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার করতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন ১: ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) কি সত্যিই প্রয়োজন?

উত্তর: VPN আপনার ইন্টারনেট ট্র্যাফিক এনক্রিপ্ট করে, আপনার IP ঠিকানা গোপন করে এবং অনলাইন কার্যকলাপ গোপন রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনি সর্বজনীন Wi-Fi ব্যবহার করেন, সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করেন, বা সরকারি নজরদারি এড়াতে চান, তাহলে VPN ব্যবহার করা উচিত।

প্রশ্ন ২: পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহারের সুবিধা কি?

উত্তর: পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আপনার সকল অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী, অনন্য পাসওয়ার্ড তৈরি ও সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। এটি আপনার মনে পাসওয়ার্ড মুখস্থ করার প্রয়োজনীয়তা দূর করে এবং হ্যাকিং ঝুঁকি কমায়।

প্রশ্ন ৩: মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA) কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: MFA আপনার অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যোগ করে। পাসওয়ার্ড ছাড়াও, MFA-এর জন্য আপনাকে একটি কোড বা OTP প্রদান করতে হবে যা আপনার মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। এটি হ্যাকারদের আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা অনেক কঠিন করে তোলে।

প্রশ্ন ৪: ফিশিং ইমেইল ও লিঙ্ক চিহ্নিত করার উপায় কি?

উত্তর: ফিশিং ইমেইল প্রায়ই বানান ভুল, ব্যাকরণগত ত্রুটি এবং অস্বাভাবিক ভাষা ব্যবহার করে। সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করার পরিবর্তে, আপনি মাউস হোভার করে URL পরীক্ষা করতে পারেন। সতর্ক থাকুন এবং অজানা ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসা লিঙ্ক ও ইমেইল এড়িয়ে চলুন।

অনলাইনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা: প্রশ্ন ও উত্তর

কিছু সাধারণ অনলাইন নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি?

উত্তর:

  • ফিশিং: প্রতারকরা আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন আপনার পাসওয়ার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, প্রকাশ করতে প্ররোচিত করে।
  • ম্যালওয়্যার: কম্পিউটার ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং র‍্যানসমওয়্যারের মতো ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার।
  • সাইবার বুলিং: অনলাইনে হয়রানি বা হুমকি দেওয়া।
  • ডেটা লঙ্ঘন: হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।
  • ইন্টারনেট প্রতারণা: অনলাইনে কেনাকাটা বা লেনদেনের সময় প্রতারণা।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য কিছু টিপস কী কী?

উত্তর:

  • অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য।
  • পাসওয়ার্ডে কমপক্ষে ১২ অক্ষর ব্যবহার করুন।
  • বড় এবং ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং প্রতীক ব্যবহার করুন।
  • আপনার পাসওয়ার্ড অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
  • পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন আপনার পাসওয়ার্ড ট্র্যাক করতে।

আপনার অনলাইন গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য কিছু টিপস কী কী?

উত্তর:

আপনি অনলাইনে কী শেয়ার করেন সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।

শক্তিশালী গোপনীয়তা সেটিংস ব্যবহার করুন।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে এমন ওয়েবসাইটগুলি এড়িয়ে চলুন।

আপনার ডেটা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার অধিকার সম্পর্কে জানুন।

আপনি যদি অনলাইনে প্রতারণার শিকার হন তবে কী করবেন?

উত্তর:

  • প্রথমে, প্রতারণার বিষয়টি প্রতিবেদন করুন।
  • আপনার ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন।
  • আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
  • আপনার কম্পিউটারে অ্যান্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার স্ক্যান করুন।

অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য বাচ্চাদের শেখানোর জন্য কিছু টিপস কী কী?

উত্তর:

  • অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে তাদের সাথে কথা বলুন।
  • তাদের শেখান কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হয়।
  • তাদের অনলাইনে কী শেয়ার করতে হয় সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে শেখান।
  • তাদের শেখান কীভাবে অনলাইন প্রতারণা চিহ্নিত করতে হয়।

সবচেয়ে দুর্বল পাসওয়ার্ডগুলো কী কী?

উত্তর: সবচেয়ে দুর্বল পাসওয়ার্ডগুলো হলো সহজে অনুমান করা যায় এমন, যেমন "123456", "password", "qwerty", "iloveyou" ইত্যাদি। পূর্ণ নাম, জন্ম তারিখ, বা পোষা প্রাণীর নাম ব্যবহার করাও উচিত নয়।


দুই ধাপের যাচাইকরণ (2FA) কী?

উত্তর: দুই ধাপের যাচাইকরণ হলো একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর যা আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড এবং একটি কোড প্রদান করতে বলে। কোডটি আপনার ফোনে পাঠানো হয় বা একটি অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।


ফিশিং প্রতারণা কী?

উত্তর: ফিশিং প্রতারণা হলো একটি ধরণের সাইবার আক্রমণ যেখানে প্রতারকরা ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি, বা অন্যান্য বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশে ইমেইল বা টেক্সট বার্তা পাঠায়। বার্তাগুলোতে প্রায়শই একটি লিঙ্ক থাকে যা ক্লিক করলে আপনাকে একটি জাল ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। জাল ওয়েবসাইটটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন আপনার লগইন তথ্য বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি করার চেষ্টা করবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার গোপনীয়তা কীভাবে রক্ষা করবেন?

উত্তর: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলোতে কী তথ্য শেয়ার করেন সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। আপনার পূর্ণ নাম, ঠিকানা, বা ফোন নম্বর শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন। আপনার প্রোফাইলগুলোকে "বন্ধুদের কেবলমাত্র" সেট করুন যাতে শুধুমাত্র আপনার বন্ধুরা আপনার পোস্টগুলো দেখতে পারে।


আপনার ডিভাইসগুলো কীভাবে নিরাপদ রাখবেন?

উত্তর: আপনার ডিভাইসগুলোতে অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ইনস্টল করুন। আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপডেট রাখুন। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ডিভাইসগুলো লক করুন।


আপনি যদি অনলাইনে কোনো প্রতারণার শিকার হন তবে কী করবেন?

উত্তর: আপনি যদি অনলাইনে কোনো প্রতারণার শিকার হন তবে দ্রুত আপনার ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে জানান। আপনি ঘটনার একটি পুলিশ রিপোর্টও করতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url