ফেসবুকে হয়রানির শিকার করণীয় ও আইনি প্রক্রিয়া

ফেসবুক আজকের দিনে যোগাযোগ এবং তথ্য আদান-প্রদানের একটি অপরিহার্য মাধ্যম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, অনেকেই এই প্ল্যাটফর্মে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হয়রানির বিভিন্ন রূপ থাকতে পারে, যেমন:

  • অনাঘাত বার্তা: আপত্তিকর, বিদ্বেষমূলক, অথবা হুমকিপূর্ণ বার্তা পাঠানো।
  • অনলাইন স্টকিং: আপনার অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা, আপনার ছবি বা পোস্ট শেয়ার করা, অথবা আপনার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো।
  • অনলাইন অপমান: আপনার চেহারা, শরীর, অথবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করা।
  • সাইবার হুমকি: শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়া, অথবা আপনার সুনাম নষ্ট করার হুমকি দেওয়া।

ফেসবুকে হয়রানির শিকার হলে আপনি কী করতে পারেন:

  • হয়রানিকারীকে ব্লক করুন: ফেসবুকের ব্লক করার বিকল্প ব্যবহার করে আপনি হয়রানিকারীকে আপনার প্রোফাইল থেকে স্থায়ীভাবে ব্লক করতে পারেন।
  • হয়রানির প্রমাণ সংরক্ষণ করুন: হয়রানির প্রমাণ হিসেবে বার্তা, ছবি, অথবা পোস্টের স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করুন।
  • ফেসবুকে অভিযোগ জানান: ফেসবুকের অভিযোগ জানানোর সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি হয়রানির ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পারেন।
  • আইনসই পদক্ষেপ নিন: যদি হয়রানি তীব্র হয়, তাহলে আপনি আইনসই পদক্ষেপ নিতে পারেন।

কোথায় অভিযোগ করবেন:

  • ফেসবুক: আপনি ফেসবুকের অভিযোগ জানানোর সিস্টেম ব্যবহার করে সরাসরি ফেসবুকে অভিযোগ জানাতে পারেন। https://www.facebook.com/help/116326365118751
  • আইন প্রয়োগকারী সংস্থা: আপনি নিকটতম থানায় অথবা বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করতে পারেন। https://www.police.gov.bd/en/police_cyber_support_for_women
  • মানবাধিকার সংস্থা: আপনি আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বা নারী ও শিশু অধিকার আইনি সহায়তা কেন্দ্রের (নাসক) মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।

মনে রাখবেন:

  • আপনি একা নন। অনেকেই ফেসবুকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
  • আপনার নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।

অতিরিক্ত তথ্য:

  • ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি: https://www.facebook.com/help/592679377575472
  • বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট: https://www.police.gov.bd/en/police_cyber_support_for_women
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url