CS, SA, RS, BS খতিয়ান চেনার খুঁটিনাট -বিস্তারিত

বাংলাদেশে জমির মালিকানা সংরক্ষণ ও কর আদায়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জরিপ পরিচালিত হয়েছে। এই জরিপের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত খতিয়ানগুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এগুলো হলো: CS, SA, RS, BS খতিয়ান চেনার


সিএস খতিয়ান: ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫-১৯১০ সালে প্রবর্তিত এই খতিয়ানটি সবচেয়ে প্রাচীন।

  • এসএ খতিয়ান: ১৯৫০ সালের ভূমি সংস্কার আইনের অধীনে প্রবর্তিত এই খতিয়ানে জমির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছিল।
  • আরএস খতিয়ান: ১৯৭২ সালের ভূমি জরিপ আইনের অধীনে প্রবর্তিত এই খতিয়ানে জমির পরিমাণ ও মালিকানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।
  • বিএস খতিয়ান: ১৯৯০ সালের ভূমি জরিপ আইনের অধীনে প্রবর্তিত এই খতিয়ানটি বর্তমানে প্রচলিত সর্বশেষ খতিয়ান।

এই খতিয়ানগুলোকে চেনার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যেতে পারে:

  • খতিয়ানের নাম: খতিয়ানের নামের প্রথম অক্ষর দেখে খতিয়ানের প্রকার নির্ধারণ করা যায়। যেমন, CS খতিয়ানের নামের প্রথম অক্ষর হলো C।
  • খতিয়ানের দাগ নম্বর: খতিয়ানের দাগ নম্বরের প্রথম অক্ষর দেখেও খতিয়ানের প্রকার নির্ধারণ করা যায়। যেমন, CS খতিয়ানের দাগ নম্বরের প্রথম অক্ষর হলো C।
  • খতিয়ানের সীমানা: খতিয়ানের সীমানা দেখেও খতিয়ানের প্রকার নির্ধারণ করা যায়। যেমন, CS খতিয়ানের সীমানা সাধারণত একটি আয়তক্ষেত্র।
  • উল্লেখ্য, খতিয়ানের প্রকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করা যথেষ্ট নয়। তবে, এগুলোকে বিবেচনা করলে খতিয়ানের প্রকার নির্ধারণ করা সহজ হয়।

CS, SA, RS, BS খতিয়ান চেনার উপায় ?

প্রফেশনাল ব্যক্তি ছাড়া জমির কাগজপত্র সঠিকভাবে চেনা খুব কঠিন কাজ, তবে কিছু বেসিক তথ্য জানা থাকলে আপনিও খুব সহজে জমির কাগজপত্র সম্পর্কে বুঝতে পারবে। আজ আমরা জমির খতিয়ান সম্পর্কিত মৌলিক কিছু ধারণা জেনে নিন। 

জমির C.S খতিয়ান চেনার সহজ সংকেতঃ 

  • ডিজিটাল সি. এস. খতিয়ানের উপরে বড় করে লেখা থাকে সি. এস. খতিয়ান। আর পুরাতন খতিয়ান নম্বর ডানে থাকে। 
  • আমাদের পুরাতন সি. এস. খতিয়ান চিহিৃত করতে অসুবিধে হয় যেহেতু খতিয়ানের কোথাও সি. এস. খতিয়ান কথাটি লিখা থাকে না।

১টি কৌশল মনে রাখলে সি. এস. খতিয়ান চিনতে কখনো ভুল হবে নাঃ 

দুই পৃষ্ঠার জমির খতিয়ানের প্রথম পৃষ্ঠাটি আড়া-আড়ি ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত; উপরে জমিদার এবং নিচের অংশে প্রজার নাম থাকবে।

  • S.A খতিয়ান চেনার চেনার সহজ সংকেতঃ 
  • ২টি কৌশল মনে রাখলে এস. এ. খতিয়ান চিনতে কখনো ভুল হবে নাঃ 
  •  খতিয়ানটি দেখতে এক পৃষ্ঠার ও আড়াআড়ি (Horizontal)  হবে।
  • এই খতিয়ানে সাবেক C.S খতিয়ান এবং হাল নম্বর থাকবে। 

পুরাতন ও ডিজিটাল সি.এস এর নমুনা দেখুন।

RS খতিয়ানঃ যেহেতু SA খতিয়ান সরেজমিনে না গিয়ে জমিদারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়, এতে অনেক ভুল হয় এবং Revisional Survey (R.S) এর  মাধ্যমে ভুল সংশোধন করা হয়। আর. এস খতিয়ানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। 

RS খতিয়ান চেনার সহজ সংকেতঃ 

খতিয়ানের পাতার একদম উপরে ডানপাশে "রেসার্ভে নং" লেখা থাকলে নিশ্চিতভাবে এটি RS খতিয়ান। অনেক ক্ষেত্রে রেসার্ভে নং লেখা নাও থাকতে পারে। 

খতিয়ানটি ১/২ পৃষ্ঠার এবং CS খতিয়ানের মত লম্বালম্বি হবে।

CS এর ১ম পৃষ্ঠা দুই ভাগে বিভক্ত কিন্তু RS খতিয়ানে কোন ভাগ নাই।

BS খতিয়ান চেনার সহজ সংকেতঃ 

বর্তমান সময়ে আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পদ্ধতিতে পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url